টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়ম ২০২৩ - ই-টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার উপায়


আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ই-টিন সার্টিফিকেট কিভাবে বাতিল করবেন টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার উপায় আজকের এই আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যারা টিন সার্টিফিকেট বাতিল বা বন্ধ করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আসলে আজকের এই আর্টিকেল। অনেকে আছেন যারা না বুঝে অথবা প্রয়োজনের সময় টিন সার্টিফিকেট তৈরি করেছিলেন কিন্তু এখন আর এই ঝামেলা পোহাতে চাচ্ছেন না প্রতি বছর আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বা এই বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত না বোঝা বা এই অতিরিক্ত ঝামেলা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এখন প্রত্যেকে চাচ্ছেন তিন সার্টিফিকেট চিরতরে বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। কেননা শোনা যাচ্ছে বাংলাদেশে নতুন নিয়ম আসতেছে যে টিন সার্টিফিকেট থাকলে প্রত্যেককেই ২০০০ টাকা কর দিতে হবে প্রতিবছরে। ‌ যে কারণে প্রত্যেকেই চাচ্ছে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করে দেওয়ার জন্য তো আজকের এই আর্টিকেল পড়লে আপনি খুব সহজে জানতে পারবেন টিন সার্টিফিকেট কিভাবে বন্ধ করা যায় বা TIN Certificate / E-TIN Certificate বন্ধ করার নিয়ম কি।


আমরা জানি নিজের নাম তথ্য দিয়ে যখন আমরা টিন সার্টিফিকেট তৈরি করি তারপর প্রতিনিধিষ্ট সময় পরপর আমাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে যদি আমরা নির্দিষ্ট সময়ে এই আয়কর রিটার্ন দাখিল না করি সে ক্ষেত্রে আমাদের নামে বিভিন্ন নোটিশ আসবে এবং তা পরিশোধ করার জন্য বলবে। তবে এক্ষেত্রে যদি আপনি তিন বছর  "0 আয় কর রিটার্ন"  দাখিল করেন তাহলে আপনাকে আর আয় কত রিটার্ন দাখিল করতে হবে না। 


কিন্তু আপনাদের আয়কর রিটার্ন দাখিল করার যে নির্দিষ্ট পরিমাণ রয়েছে সেই নির্দিষ্ট পরিমাণ পূরণ করতে আপনি যদি অক্ষম হয়ে থাকেন অথবা আপনার আয়যোগ্য কর যদি পরিমাণে কমে যায় তাহলে আপনি আপনার টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন করে দেখতে পারেন।


বাংলাদেশ টেক্স পেয়ার আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার এর তথ্য অনুসারে জানা গেছে আপনি যদি পরপর তিন বছর 0 আয় কর রিটার্ন জমা দেন তাহলে আপনার তিন সার্টিফিকেট বাতিল হয়ে যাবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে পুনরায় আর কখনো আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া লাগবে না। তবে এক্ষেত্রে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করার সময় আপনি যে নাম ঠিকানা জমা দিয়েছিলেন সেটার ভিত্তিতে অবশ্যই ভেরিফিকেশন এর মাধ্যমে যাচাই করা হবে আপনি যে জিরো আয় কর রিটার্ন দাখিল করেছেন সেটা সমস্যার জন্য করেছেন কি না। 


টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার নিয়মঃ

টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আপনাকে "উপ কর কমিশনার" বরাবর আবেদন করতে হবে। তাহলে চলুন ধারাবাহিকভাবে জেনে নেই কিভাবে টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করার জন্য আবেদন করবেন।


আপনি যখন উপ কর কমিশনের বরাবর আবেদন করবেন তখন বরাবর কমিশনার সহ কর কমিশনারের কার্যালয়ের ঠিকানা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে। এরপর টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন এ বিষয়টি উল্লেখ করতে হবে।


তারপর আপনার বিস্তারিত সকল তথ্য প্রদান করবেন যেমন স্থায়ী ঠিকানা প্রদান করবেন। তারপর বর্তমান ঠিকানা প্রদান করবেন। এরপর আপনার টিন সার্টিফিকেট এর নাম্বার সতর্কতার সাথে খুব নির্ভুলভাবে এখানে প্রদান করবেন। টিন সার্টিফিকেট এর নাম্বার দেওয়ার পরে আপনাকে লিখতে হবে আপনি আসলে টিন সার্টিফিকেট তৈরি করেছিলেন নিজের অনুসন্ধিৎস্য মেটানোর জন্য। এখন আপনার টিন সার্টিফিকেট এর আর কোন প্রয়োজন ই নাই। তারপর উপ কর কমিশনার আপনার টিন সার্টিফিকেট বাতিল করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করবেন। এবং যদি আপনি পরপর তিন বছর জিরো আয় করে রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন তাহলে বিষয়টি তারা গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখবে। 


উপ কর কমিশনার কর্তিক সরজমিনে এসে ভেরিফিকেশন করে যদি দেখে আপনি সত্যিকার অর্থে টিন সার্টিফিকেট এর আয়কর রিটার্ন দাখিল করার সামর্থ্য রাখেন না, তখন তারা আপনার টিম সার্টিফিকেট টি বাতিল করে দিবে।



এভাবে আপনি টেন সার্টিফিকেট বাতিল করার জন্য আবেদন করতে পারবেন বা ই-টিন সার্টিফিকেট বন্ধ করতে পারবেন তবে আশা করি আর্টিকেলটি পড়ে আপনি এতটুকু বুঝতে পেরেছেন যে তিন সার্টিফিকেট তৈরি করাটা যত সহজ এটা বন্ধ করা তত সহজ না। আপনার কাছে বিষয়টা এমনও মনে হতে পারে যে কেন করতে গেছিলাম এই ফালতু কাজ এই টিন সার্টিফিকেট কেন তৈরি করলাম। এজন্য আমাদেরকে কোন কাজ করার আগে সেই বিষয়ে দুইটা দিক খেয়াল করতে হবে ভালো দিক এবং মন্দ দিক সবকিছু ভালো করে যাচাই-বাছাই করে তারপরে সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাজটা আমি করবো নাকি করবো না।


তো আশা করতেছি আজকের আর্টিকেল পড়ে আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছেন অন্তত এটা জানতে পেরেছেন কিভাবে ইউটিউব সার্টিফিকেট বন্ধ করতে হয় বা ইটিং সার্টিফিকেট বন্ধ করার নিয়ম যদি আজকের আর্টিকেলটা ভালো লেগে থাকে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন ধন্যবাদ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Post a Comment (0)

নবীনতর পূর্বতন